পোস্টগুলি

বাসনা।

ছবি
 হে দয়াময় ধরনীর মালিক রব্বানা,  ভৃত্ত আমি তোমার কাছে করি কমনা।  জানিনা আত্মার উত্থান কালে,  পাবকিনা স্বর্গের ঠিকানা।  মদ্যপ আমি ভ্রষ্ট আমি,  করি তোমারই আরাধনা।   যদি না পায় তোমার করুণা, তবে কে শুনবে এ হৃদয়ের বেদনা। ক্ষমা করো এই অধম ধৃষ্টরে,  করো এই পাপীকে মার্জনা।

জীবন যন্ত্রণা।

ছবি
ক্ষুদ্র চাওয়া আমার, ক্ষুদ্র আমার চাওয়া, বেঁচে থাকার জন্য দু'বেলা দু'মুঠো ভাত চাই। পরিধানের জন্য বস্ত্র চাই, মাথা গোজার মত ঠাই চাই, জৈবিক চাহিদার জন্য সহ-ধর্মিনী চাই। বার্ধক্যে উপনীত হওয়ার পরে, দেখা শোনার জন্য, সুসন্তান চাই। পাঠালেন যিনি, দেন না কেন তিনি, চেষ্টার তো কমতি করেনি, কেউ কোনদিনই,  যাকে খুশি তাকে দাও, এটাই তো তোমার নিয়ম নীতি। পরীক্ষার নামে যন্ত্রণা, আর তো প্রাণে সহেনা।  কে করবে পরিবর্তন, এ সমাজ ব্যবস্থার অতি যতন, কারো জীবন কেটে যায় স্বাচ্ছন্দে, ভোগ বিলাসে, আবার কারো কারো ফুটপাতে অনাহারে-অর্ধাহারে অতি কষ্টে। এ নিয়ে অনেকেরই মাথাব্যথা আছে ঠিকই, কিন্তু প্রতিকারের কোন চেষ্টা নাই কোনদিনই। যদিও থেকে থাকবে, সেটাও আবার লোক দেখানো কিছু খবর, পত্রিকার পাতায় সীমাবদ্ধ থেকে যায় চিরদিনই। তুমিও মানুষ, সেও মানুষ তবে কেন এই বৈষম্য, দু'দিনের দুনিয়ায় আজীবনই।  তোমার কষ্ট হলে তো, তারও কষ্ট হয়,এটা বোঝার জন্য কি অনেকটা সময়ের প্রয়োজন হয় ?  তোমার যত সম্পদ, বিলিয়ে দাও সব, আছে যত অনাহারী ক্ষুধার্ত পথিক, নিয়ে যায় যদি সব।  কি ভাবছ, শেষ হয়ে গেছে সব, না কখ...

স্বপ্ন ছিল।

ছবি
সহস্র কোটি নিষ্পাপ শিশুর নিভে যাওয়া হাঁসি আবারও দেখতে চাই,  কত শতাব্দি পেরিয়ে গেছে, জ্বলেনি কোন আলো, নিভে যাওয়া আলোর নিচে নিরবে কাঁদে যে আঁধার, মুছে দিতে চাই সেই কালো ছায়ার মায়া জালে ঘেরা অভিশপ্ত আঁধার।

শূন্য পৃথিবী।

ছবি
 সুন্দর এই পৃথিবীতে আমি এক অদ্ভুত সুন্দর।  অন্ধকারে খুঁজেছি নিজেকে পেয়েছি এক অন্তর নামক বস্তুর মাঝে আমার বসবাস।  শুধু চিনলো না আমায়, আমার চারপাশ।  আমার কষ্ট নিয়ে নষ্ট এ পৃথিবী, ভালো থেকো আমার চারপাশ।  শূন্যতায় হারিয়ে যাবো হয়তো কোন একদিন,  শূন্য এই পৃথিবীর বুক চিড়ে মাটির অতল গহীনে, যেখানে থাকবে না আমার দুর্গন্ধময় নিঃশ্বাস।

হারিয়ে যেতে দেব না।

ছবি
তুমি মনের ঘরে আগুন জ্বেলে, কোথায় রবে পালিয়ে,  তোমার ঐ মনেতে, আমি আগুন জ্বেলে পোড়াবো তোমাকে।  যেন সেই আগুনে, পুড়ে দুজনে গড়বো নতুন এক জীবন,  যেখানে দুজনে গড়বো প্রেমের সমাধি এক জীবন,  খুব গোপনে, মন গহীনে রেখেছি তোমায় যতনে,  কভু হারাতে দেব না কোন কারণে।

ধ্বংসের শেষ প্রান্তে।

ছবি
কি দেখছি এসব, কি হচ্ছে সব চারপাশে, এ কি মহাপ্রলয়ের সুর শুনি। শকুন দেখেছেন কখনও ? আমি দেখেছি, সে কোন সাধারণ শকুন নয়, সে এক মানুষ রুপি শকুন। যারা দুনিয়ার মোহে অন্ধ, নিরীহ নিরপরাধ মানুষের সাথে করে অন্যায় অত্যাচার লুন্ঠন, এরাই তো মানুষ রুপি শকুন। ওহে মানুষ তোমার কিসের এত প্রয়োজন, ছোট্ট এই পৃথিবীতে, দু'দিনের জন্য এত এত সব কিছুর,  পথের ধারে পড়ে থাকা মানুষটির জন্য কখনও কি কেঁদেছে তোমার অন্তর, তবে কিসের নেশায় মত্ত তুমি, নিত্য কর অন্যায়।

কারণে অকারণে।

ছবি
ভাবি কোন কারণে, ভাবি শুধু এই আমি, ভাবি কোন বিরহে, ভাবি শুধু, এই আমি,  ভাবি কোন বিরহে, তুমি হীনা এই আমি,  ভাবনারা মাতাল হাওয়ায় বইছে বিরহী মনে প্রতিটি ক্ষণে, ভাবি শুধু তোমারই কথা।  তুমিহীনা মনোবীণা বাজেকি বাজেনা, দুঃস্বপ্নের প্রতিটি ক্ষণ অকারণ পাবকি পাবোনা ঠিকানা।  তবু মন অবিরত ছুটে চলা অজানা পথে,  তবু মন স্বপ্ন দেখে কারণে অকারণে।

পাপ।

ছবি
কেউ পাপ করে অভাবে, আবার কেউ পাপ করে স্বভাবে, আমি কোন কাতারে।বরাবর-ই আমি অভাবী, আমি এমনই এক অভাবগ্রস্ত, যে কিনা তাঁর রবের কাছ থেকে ক্ষুধা পেলে অন্য, আর রক্ত মাংসের শরীর ছাড়া কিছুই পায়নি, হ্যাঁ অনেকে তো সেটাও পায়নি, এর কারণ যদি এরকম হয়, তাঁকে দেখে এটা বুঝে যায় যে, তাঁর থেকে আমার রব আমাকে অনেক ভালো রেখেছেন, তাহলে সে কি বলবে, ধরে নিলাম তাঁর কোন অভিযোগ নেই, কিন্তু আমি বলবো সে তো আমার থেকে ভলো আছে।আমার দু'টো হাত, দু'টো পা,দু,টো চোখ,চিন্তা করার জন্য মস্তিষ্ক আছে, কিন্তু সে গুলো সব অকেজো, এর জন্য তো আমি দায়ী নই আমি তো কোন ভাবেই এ গুলোকে অকেজো করার চেষ্টা করিনি কোনদিন,তাহলে কি আমি মিথ্যাবাদী,সত্যিটা তুমি বলে দাও। আমার অপরাধ কি এটাই যে, তুমি আমাকে সৃষ্টি করেছ ক্ষুধা,দারিদ্রতা, হতাশা, দুশ্চিন্তা,অসুস্থতা,ফল-ফসলের বিনষ্টের মাধ্যমে পরীক্ষায় ফেলার জন্য,আরও বলেছ,নিশ্চয়ই সবরকারীদের জন্য রয়েছে সুসংবাদ।এ কথা তো অনেকেই জানে,যারা পার্থিব জীবনকে প্রাধান্য দিবে তারা ক্ষতিগ্রস্ত, কিন্তু অনেকেই সেটা মানে না, এরমধ্যে তোমার প্রতি যারা বিশ্বাস রাখে, আর যারা রাখে না, উভয়ই বিদ্যমান। ত...

অদৃষ্টের পরিহাস।

ভাবনা যেখানে থেমে যায়, জীবন কাটে আশা নিরাশায়। সময় যেখানে অস্থির, জীবন কাটে স্বপ্নহীন নীরবতায়। জীবন সে তো স্রষ্টার দেওয়া এক অমূল্য উপহার, হোক সে নারী, হোক সে নর। নারী তুমি ধন্য, তুমি দামি, তোমারই গর্ভে এসেছে ইসা (আঃ) লাগেনি কোন নর। ওহে মরিয়ম তুমি পবিত্র, তুমি ধন্য, তোমার মত নারী প্রয়োজন এ জগতের জন্য, আজ এ জগত হয়েছে প্রায় শূন্য, নহে কেউ তোমার মত গণ্য।  নারী তুমি দামি, তবে কেন হয়েছ আজ বেশ বিন্যাস কারিণী,পরপুরুষগামিনী।  নারী তুমি মা, তোমারই পদতলে জান্নাহ, তোমার হয়না তুলনা।  নারী তুমি কি জানোনা, খাতুনে জান্নাহ, হাসান হোসাইনের মা,  তুমি তো সেই নারী, মিছে কেন করছো সমঅধিকারের নামে বাড়াবাড়ি,  স্রষ্টাই তোমাকে করেছে অনেক অনেক দামি।  অকারণে যে পুরুষ করে বাড়াবাড়ি,তার সাথে আমার চিরকাল আঁড়ি,  তারে আমরা কেন ছাড়ি, তার পায়ে বাধ বেঁড়ি, মারো বাঁড়ি।  আজও কেন ভাঙ্গে ঘর, নিষ্পাপ শিশুরা হয় পর, এ কেমন বিড়ম্বনা, একি ভাগ্য বিড়ম্বনা।

হে রহমান তুমি যে মহান।

কে উত্তম আর কে অধম বুঝিবে সেদিন যেদিন আসিবে জম,পরের দ্রব্য পরের নারী যে করে হরণ, তার হয়না আখেরের কথা স্মরণ, সে কি চায় ঈমানী মরণ, জানোনা তুমি প্রভুর বারণ, কেন কর এসব অকারণ, যে নারী করে পরপুরুষ গমন, তুমি কি তারে করেছো সাদরে আলিঙ্গন, সে নিকৃষ্ট জানোয়ার, আমার চাইতে কিসে কম। আমি করেছি তওবা করেছি স্রষ্টার ভালোবাসা সওদা, যে করে তওবা, পাবে প্রভুর ভালোবাসা তিনি করেছেন ওয়াদা, প্রভুর স্মরণে কেটেছে যার যৌবনকাল, সেই তো জিতেছে পরকাল, তোর তো কেটেছে যৌন লিপ্সায় সারাটাকাল, শেষ বেলায় এসে করিস ধার্মিকতার ছল, তোলা হবে পিঠের ছাল, এনেছিস ভাইরাস করেছিস কি বল, তাকিয়ে দেখ দুনিয়ার একি বেহাল, শোনেনা কথা মানেনা বাধা, ছিড়েছে বাঁধন মানেনা বারণ, হয়েছে ছন্নছাড়া হয়েছে পথহারা।  সবই দেখি অকারণ, ছিল নবীজির (সাঃ) বারণ, এখন হয়েছে স্মরণ এলোরে যখন মরণ, ওগো রহমান তুমি যে মহান, আমি যে ভিক্ষারী, তুমি করো ক্ষমা দান।