পোস্টগুলি

সেপ্টেম্বর, ২০২৩ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

অদৃষ্টের পরিহাস।

ভাবনা যেখানে থেমে যায়, জীবন কাটে আশা নিরাশায়। সময় যেখানে অস্থির, জীবন কাটে স্বপ্নহীন নীরবতায়। জীবন সে তো স্রষ্টার দেওয়া এক অমূল্য উপহার, হোক সে নারী, হোক সে নর। নারী তুমি ধন্য, তুমি দামি, তোমারই গর্ভে এসেছে ইসা (আঃ) লাগেনি কোন নর। ওহে মরিয়ম তুমি পবিত্র, তুমি ধন্য, তোমার মত নারী প্রয়োজন এ জগতের জন্য, আজ এ জগত হয়েছে প্রায় শূন্য, নহে কেউ তোমার মত গণ্য।  নারী তুমি দামি, তবে কেন হয়েছ আজ বেশ বিন্যাস কারিণী,পরপুরুষগামিনী।  নারী তুমি মা, তোমারই পদতলে জান্নাহ, তোমার হয়না তুলনা।  নারী তুমি কি জানোনা, খাতুনে জান্নাহ, হাসান হোসাইনের মা,  তুমি তো সেই নারী, মিছে কেন করছো সমঅধিকারের নামে বাড়াবাড়ি,  স্রষ্টাই তোমাকে করেছে অনেক অনেক দামি।  অকারণে যে পুরুষ করে বাড়াবাড়ি,তার সাথে আমার চিরকাল আঁড়ি,  তারে আমরা কেন ছাড়ি, তার পায়ে বাধ বেঁড়ি, মারো বাঁড়ি।  আজও কেন ভাঙ্গে ঘর, নিষ্পাপ শিশুরা হয় পর, এ কেমন বিড়ম্বনা, একি ভাগ্য বিড়ম্বনা।

হে রহমান তুমি যে মহান।

কে উত্তম আর কে অধম বুঝিবে সেদিন যেদিন আসিবে জম,পরের দ্রব্য পরের নারী যে করে হরণ, তার হয়না আখেরের কথা স্মরণ, সে কি চায় ঈমানী মরণ, জানোনা তুমি প্রভুর বারণ, কেন কর এসব অকারণ, যে নারী করে পরপুরুষ গমন, তুমি কি তারে করেছো সাদরে আলিঙ্গন, সে নিকৃষ্ট জানোয়ার, আমার চাইতে কিসে কম। আমি করেছি তওবা করেছি স্রষ্টার ভালোবাসা সওদা, যে করে তওবা, পাবে প্রভুর ভালোবাসা তিনি করেছেন ওয়াদা, প্রভুর স্মরণে কেটেছে যার যৌবনকাল, সেই তো জিতেছে পরকাল, তোর তো কেটেছে যৌন লিপ্সায় সারাটাকাল, শেষ বেলায় এসে করিস ধার্মিকতার ছল, তোলা হবে পিঠের ছাল, এনেছিস ভাইরাস করেছিস কি বল, তাকিয়ে দেখ দুনিয়ার একি বেহাল, শোনেনা কথা মানেনা বাধা, ছিড়েছে বাঁধন মানেনা বারণ, হয়েছে ছন্নছাড়া হয়েছে পথহারা।  সবই দেখি অকারণ, ছিল নবীজির (সাঃ) বারণ, এখন হয়েছে স্মরণ এলোরে যখন মরণ, ওগো রহমান তুমি যে মহান, আমি যে ভিক্ষারী, তুমি করো ক্ষমা দান।

অজ্ঞতার অন্ধকারে ভাইরাস।

যেতে চায় যাক, যদি করে মোহরানা মাফ, বলেছেন আল্লাহ পাক, তবে কেন করেছ বশ্যতা স্বীকার আজ ওহে পুরুষ জাত। সেজেছ  দাইয়ূস, হয়েছ কাপুরুষ, পড়ে থাকলে যৌনতার মায়ায়, প্রকাশ্যে আর গোপনে যেওনা অশ্লীলতার কাছে বলেছেন আল্লাহ পাক, কোথায় পেলে ব্যাভিচারের সুযোগ দেয়নি তো আল্লাহ পাক। কারে করো অপমান, যে রাখল আল্লাহ তাআলার মান, তুই নিকৃষ্ট জানোয়ার পশুর চেয়ে অধম, তোর চাইতে উত্তম যে দিল আল্লাহর কথার দাম। দিলো না তারে এই জগতে কেহ সম্মান, পেলনা কোথাও তার ঈমানের দাম, তার জন্য পরকাল অপেক্ষমান, প্রভু তারে করবেন ঈমানের পুরস্কার দান। দুনিয়ার মজায় পড়ে থাকলে সদয়, দেখো আখেরাত হারিয়ে যায়।  যেদিন অজ্ঞতার অন্ধকারে নিমজ্জিত মানব জাতি প্রায়, সেদিন আবার ফিরে এসেছে বোধ হয়।

অদ্ভুত জীব।

ছবি
বসুন্ধরার বুকে আজ শকুনের বসবাস, এদের মনেতে কতই না আশ, গড়বে ধরণীর বুকে সুখের নিবাস।  কে মুসলিম, কে হিন্দু, আর কে বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান, আমি তো দেখি শকুনের বসবাস,  কে কার ঘাড়ে পা রেখে উপরে উঠবে দিবারাত্রি এরই প্রয়াস,  বড়ই অদ্ভুত জীব এ ইনসান, কেউ রাখেনা কারো মান,  সবই তো দেখি শকুনের বসবাস।

চিরস্থায়ী নিবাস।

ছবি
এ ঘর তোমার থাকবে না আর যেথায় তুমি আছ,  আজ না হয় কাল যেতে হবে তোমায় পরপারে সে ঘর তুমি বাঁধিও।  স্বজন সুজন থাকবে না কেউ তোমার যাওয়ার বেলায়, এই কথাটি মনে রেখো যেতে হবে একেলাই। অতি যতন করে তুমি বাঁধিও সে ঘর, সে ঘর তোমার আপন ঘর, যেথায় তুমি থাকবে চিরকালই। পৃথিবীর এই শূন্য ঘরে সবই শূন্য মনে হবে, বিশ্বাস যদি থাকে তোমার ঐ রবের উপরে, একটি কথাই মনে হবে তোমার যাওয়ার কালে, ঐ হৃদয়ে স্মরণ কর রবের নামটি তাহলে।  ব্যস্ত সময়, ব্যস্ত সবাই, ব্যস্ত তুমিও, অস্ত গেল সূর্য তোমার জানলে না তুমি ভুলেও।

নির্জলা।

ছবি
আমার পৃথিবী কেন আমার মত নয়, সবকিছু যেন অন্যরকম মনে হয়,  কেন বারবার স্বপ্ন ভেঙ্গে যায়, কেন সবকিছু এলোমেলো হয়, নির্জনতা ডাকে আমায়,  কোলাহল পিছু ছাড়তে নাহি চায়, সবকিছু যেন খাপছাড়া মনে হয়,  মনে জাগে ভয়, কোন দিন পাড়ি দিতে হয়, অচিন দেশের দূর অজানায়,  তবু মন কিসেরও লাগি করে হায় হায়।

মিথ্যে উৎসব।

ছবি
 কেন জীবনটা অন্যরকম হতেও তো পারত,  দেয়ালের ওপাশে কান পাতো,  কিছু কি শুনতে পাও, কিছু কি বুঝতে পারো, বুঝতে পারো কি কিছু,  না তুমি পারনি।  তুমি তো আছোই বেশ সুখে, কখনও কি তীব্র ক্ষুধার যন্ত্রণায়, কেঁদেছে তোমার দু'নয়ন। তুমি তো কাঁদতে শেখোনি, তুমি কাঁদতেও শেখোনি,  তবে কেন তোমায় নিয়ে এত উৎসব, ভেঙ্গে ফেলো, ভেঙ্গে ফেলো, ঐ বন্ধ দুয়ার। চোখ মেলে দেখো তুমি, কিছু কি দেখতে পাও, না তুমি পারনি, না তুমি পারোনি,  তুমি তো মেতে ছিলে অজানা সুখের নেশায়।  তবে কেন এত উৎসব, তবে কেন তোমায় ঘিরে এত সব মিথ্যে উৎসব।

কষ্ট।

ছবি
কষ্ট তুমি কি আজীবন আমাকেই ভালবাসবে, আমি তো তোমাকে চাইনি কোনদিন। তবুও তো কষ্ট তুমি এসেছ খুব গোপনে আমার জীবনে, আমি জানতেও পারিনি কোনদিন। তোমার আসার শব্দ আমি শুনতে পাইনি। আমি যেদিন এই পৃথিবীতে এসেছিলাম, সেদিন আমার মা তোমাকে দূরে ঠেলে হেঁসেছিল, আমার জীবনে তুমি আসবে এটা আমার মা চাইনি, কোন মা সেটা চাইনি কোনদিন। কষ্ট তুমি কি হাঁসতে জানো না, তুমি কি শুধু কাঁদতে শিখেছো, আজ আমার মা কাঁদে, তুমি কি আমার মায়ের চোখের পানি মুছে দিতে পারো না কোনদিন।

বসন্ত।

ছবি
 জীবনে বসন্ত এসেছিল, চলেও গেছে,  হয়তো আসবে না ফিরে আর কোনদিন।  কি মূল্য ছিল অমূল্য এ বসন্তের, যে বসন্ত দিতে পারিনি জীবনকে এক বিন্দু সুখ।  যে বসন্ত সময়ের মূল্য দিতে শেখেনি, সে বসন্তের কি প্রয়োজন ছিল মানুষের জীবনে,  তবুও বসন্ত আসবে মানুষের জীবনে, অনন্তকাল ধরে এসেছ তুমি ধরণীর বুকে,  জানি তুমি আসবে আরো যুগ যুগ ধরে, তবু তুমি স্বপ্নজাল বুনতে গিয়ে হয়েছো জ্বালাময়ী এক জীবন,  যে জীবন অতৃপ্ত এক বাসনা নিয়ে, আছড়ে পড়ে অনিশ্চয়তার  সুপ্ত আলো দেখতে দেখতে নতুন এক ভোরে।

অদৃশ্য দেয়াল।

ছবি
আমার চারপাশ ঘিরে অদৃশ্য দেয়াল, আমি তীব্র যন্ত্রণায় ডুবে থাকি সারাক্ষণ, কেউ দেখেনা আমায়, আমি ভেদে যায় একের পর এক দেয়াল, জানিনা এর শেষ কোথায়। কেউ কি আছো, আছো কি কেউ, বাঁচাতে আমায়, আমি বড় একা, ভীষণ একাকীত্ব ঘিরে থাকে আমায়। বাঁচতে চাই, বাঁচতে চাই, বাঁচার মতো বাঁচতে চাই, একদণ্ড শান্তি চাই, স্বার্থান্বেষী কিছু মানুষ, পার্থিব সুখের নেশায়, যা ইচ্ছে তাই করে যায়,  আমি একা নিরব দর্শকের ভূমিকায় শুধু দেখে যায়। ।

যম-যাতনা।

ছবি
এ দেহ তোমার মাটি হবে থাকতে হবে নিরালায়, কেউ যাবে না ডাকতে তোমায়। তোমায় একলা ঘরে থাকতে হবে করবে ভীষণ ভয়।  তখন কাঁদলে আর সার হবে না, যতই কর বিনয়। জমে তোমায় ধরবে ঠেশে, কিছুতেই তোমার রক্ষা নাই। সময় থাকতে হও হুঁশিয়ার, আখেরের কাজ কর ভাই। শমন তোমার পিছে পিছে ঘুরছে দিবারাতি। কোন দিন জানি নিবে কেড়ে তোমার জীবন বাতি।

বিভীষণ।

ছবি
আমি আজ অন্য কোথাও, আমি আছি দূরে কোথাও। যেখানে কোন কষ্ট নেই, তোমাদের কোন কথা আজ আমাকে কষ্ট দেয়না। আমি আজ কারো কোন কষ্টের কারণ নই, আমি আর কারো কোন কষ্টের কারণ হতে চাই না। আমার কারণে তোমাদের কেউ আজ কষ্ট পাবে না। তাই তোমাদের সুখ কামনায়, আমি আজ অন্য কোথাও, আমি আজ দূরে কোথাও।

একাকী আবার।

ছবি
নেই কোন কষ্ট আমার, নেই কোন ব্যথা আর, নেই কোন কিছু আর হারাবার আমার,  শুধু একজন তুমি ছিলে আমার, তোমারই বিরহে একাকী আবার।  আমি ভাবতেও পারি না, এক মুহূর্ত তোমায় ছাড়া আর।  একাকী জীবন আমার শূন্য মনে হয়,  পৃথিবীর দূর সীমানায় মন হারিয়ে যায় অবেলায় আবার।

অনেকটা পথ হেঁটে আমি।

ছবি
আমি অনেকটা পথ হেঁটে হেঁটে তোমার খোঁজে এসে দেখি, তোমার ঠিকানায় অন্য কেউ, তবে এই কি ছিল তোমার শেষ অভিনয়, তবে এই কি ছিল তোমার ভাবনায়, তুমি খুব সহজে বদলে গেছো, সময়ের রঙ্গীন হাওয়ায়।  কিভাবে সব ভুলে ছেড়ে থাকতে পারলে আমায়, আমি নতুন করে ভাবতে চেয়ে, ভুলে থাকতে পারিনি তোমায়। সময়ের রঙ্গিন হাওয়ায় আমি ভাসতে শিখি নাই, তাই ভুলে থাকতে পারিনা তোমায়।

অস্পষ্ট ছবি।

ছবি
আজকাল যা দেখি, নারী হয়েছে খালে ভাসা মড়ার মত, যা কিনা আমার মত চিল শকুনের খোরাক।  অবাক হচ্ছেন ?  হওয়ারই কথা, আহারে সভ্য জাতি, সভ্যতার গণ্ডি পেরিয়ে আর কতটা অসভ্য হলে পরে, নিজেকে সভ্য বলে দাবি করতে পারব।  রাতের নক্ষত্রের মত সত্য, আমার বুকের মধ্যখানে ঠিক কলিজা বরাবর,  যে ক্ষত চিহ্নটি রয়েছে,  তা হয়তো কেউ কোনদিন দেখতে পাবেনা, যেটা আমি দেখি।  এমন একজন আছেন, যিনি তার শরীরের শেষ রক্ত বিন্দু টুকুও উৎসর্গ করতে পারেন, তার সন্তানের জন্য, আর তিনি হলেন মা, এর ব্যতিক্রম কিছু হয়ে থাকলে, আমার জানা নাই তিনি আসলে কে,  আমি জানি, আমার মায়ের কাছে আমি অনেক বেশি ঋণী, যা অস্বীকার করার সাধ্য আমার নেই।

স্মৃতিগুলো কাঁদে।

ছবি
হারিয়ে যাওয়া দিনগুলোতে আমি খুজি তোমায়,  যা ছিল আমার, সবই যে তোমার, কেন তুমি আজ অন্য মানুষ,  সবই আজ হারালো, সব কেন এলোমেলো,  আধার কালো অন্ধকারে, হেঁটে চলি অজানায়,  তবু কেন স্বপ, স্বপ্ন হারায়। স্মৃতিরা কাঁদে স্মৃতির অন্ধ ঘরে, একেলা কেঁদে যায়।

তোমার অপেক্ষায়।

ছবি
জানি তুমি আসবে ফিরে কোন একদিন,  আমি সেই দিনেও তোমার অপেক্ষায়, আমি আজও থাকি তোমার অপেক্ষায়, তুমি কোথায় তুমি কোথায়।  আমি অনেকটা পথ হেঁটে হেঁটে ক্লান্ত তোমার অপেক্ষায়, আমি অনেক দূরে তেপান্তরে, দূরে কোথাও পাইনি খুজে তোমায়, তবু তোমার অপেক্ষায়।  তুমি এসো ফিরে, ঝড় হয়ে, নদী হয়ে, এই হৃদয়ে, তুফান হয়ে এসো এই হৃদয়ে,  তৃষ্ণার্ত এ হৃদয় তুমি দাও ভরিয়ে, মরুময় এ হৃদয় তুমি দাও ভিজিয়ে,  যেন অনন্তকাল তোমার অপেক্ষায়, তুমি কোথায় তুমি কোথায়।

কষ্টের কয়লা।

ছবি
জ্বলে জ্বলে পুড়ে পুড়ে হয়ে গেছে কষ্টের কয়লা,  আমি এক কষ্টের কয়লা।  কষ্ট নেবে, হরেক রকম কষ্ট আছে, কোনটা নেবে। কষ্টেরা থাকে, কষ্টেরা আছে, গৃহ হারা মানুষের বেঁচে থাকার কষ্ট,ঠিকানাহীন শিশুর বেড়ে ওঠার কষ্ট, প্রাচুর্যের মাঝে সুখ খুঁজে না পাওয়ার কষ্ট। কষ্টের কোন রং থাকুক বা না থাকুক তবুও কষ্ট থাকে। অনেক চাওয়ার মাঝে না পাওয়ার কষ্ট, সব পাওয়ার মাঝে কিছু হারানোর কষ্ট, অনেক কষ্টের মাঝে অল্প একটু সুখ,  চাইনা আমি সেই সুখ, আমার কাছে জীবনের সব কষ্ট গুলোই যেন সুখ, তাইতো আমি সুখী। কষ্টেরা আমায় ছোঁয়ার দুঃসাহস করে দেখতে পারো আর একবার, কষ্টের শিকড় কোথায় আমি তা জানি, কষ্টের  শিকড়কে আমি চিনি, নষ্ট এ পৃথিবীতে কষ্ট নিয়ে বেঁচে আছি, তবুও আমি সুখী।

বিচ্ছেদের অনল।

ছবি
এখন আর খাবারে লবণ কম হলে,অতিরিক্ত লবণের প্রয়োজন হয় না,এখন আর তিন বেলা খাওয়ার প্রয়োজন হয় না,খুব যখন খিদে পায় তখন কিছু খাওয়ার প্রয়োজন হয়। এখন আর আগের মত ঘুমের প্রয়োজন হয় না,ঘুম শব্দটাই যেন আমার জীবন থেকে হারিয়ে গেছে। এখন আর সেজেগুজে ঘুরতে যাওয়া হয় না, ময়লা টি-শার্টে যেন আমাকে বেশি মানায়। এখন আর আমার ত্বকের যত্ন কেউ নেয় না,তাই আমাকে আর ফেসওয়াশ কিনতে হয় না।এখন আর কেউ আমার জুতো পরিষ্কার করে দেয় না,তাই অনেক বছর বাটা কিম্বা এপেক্সের শোরুমে যাওয়া হয় না। এখন আর কেউ আমার মাথার চুল গুলি বড় হয়ে গেছে এ কথা কেউ বলেনা,তাই ঘন ঘন সেলুনে যাওয়া হয় না, এখন আর আমার হাতে পায়ের নখগুলি কেউ কেঁটে দেয় না, তাই নেইল কার্টারের প্রয়োজন হয় না,এখন আর আমাকে কেউ কাঁচের চুড়ি আর কালো টিপ কিনে দেয়ার কথা বলেনা। এখন আর দিন শেষে বাড়ি ফেরার সময়,কাঁচা বাজার থেকে ঘুরে আসার কথা কেউ বলেনা,এখন আর কেউ আমাদের ছেলে মেয়েদের নাম কি রাখা হবে,সে কথা কেউ বলেনা,এখন আর কেউ গোসলের সময় আমার পিঠের ময়লা পরিষ্কার করে দেয় না,এখন আর কেউ আমার খাওয়া শেষে রেখে দেওয়া মাংসের হাড়ের টুকরাগুলো চিবানোর জ...

এবার তোমার হবে জয়।

ছবি
  যদি স্বপ্ন তোমার কভু ভেঙ্গে যায়, ভেবোনা এ তোমার কোন পরাজয়।  তুমি তো স্বপ্ন দেখেছিলে, যে স্বপ্ন শুধু স্বপ্ন নয়, এবার তোমার হবেই জয়। যদি ভয় পাও, যদি একা লাগে, ভেবে নিও তুমি তো একা নও, তোমার স্বপ্নেরা তোমার সাথে।  তোমার স্বপ্নেরা আর কাঁদবে না, তোমার স্বপ্নের এবার হবেই জয়,  শুধু বসে থাকা নয়, শুধু ভাবনা নয়, তোমার স্বপ্নের করতে হবে জয়,  যদি ঝড় আসে যদি থেমে যায়, তুমি বুঝে নিও এ ঝড় তোমার লক্ষ্য নয়, তোমার অবিরত ছুটে চলা এনে দেবে জয়।

বর্ষণ।

ছবি
  বৃষ্টির ছন্দে নাচে মন আনন্দে,  আয় খেলি জল কেলি, ঝাপ দেই জলে।  আমার ঘরে ছনের চালে, টুপ টাপ জল পড়ে,  দেখো হাঁসের পাল ডুব দেয় পুকুর জলে।  কাক পক্ষীরা ভিজতে থাকে বসে গাছের ডালে,  বকগুলি সব উড়ে যায় বাঁশ বাগানের ঝাড়ে।  ছোট ছোট, ছেলে মেয়ে ঝাপ দেয় খালে,  মন হারিয়ে যায় আমার ছোট্টকালে। সন্ধ্যে হলে মন আনন্দে, ব্যাঙ নাচে বৃষ্টির তালে তালে।

কষ্টের লোনা জলে।

ছবি
সবকিছু মুছে দিয়ে আবার শুরু করা,  সবকিছু ভুলে গিয়ে আবার চাওয়া, আবার শুরু করা।  অভিশপ্ত এ জীবনে কত সুখ চেয়ে হয়নি পাওয়া,  তবু দূরে কোথাও নতুন করে, পাবো কি পাবো না, অজানা কোন সুখের খোঁজে হয়নি যাওয়া।  কষ্টের লোনা জলে সাঁতরে আমি পাব কি কোন সুখের ঠিকানা,  সবকিছু মুছে দিয়ে নতুন করে আবার শুরু করা।

বৃষ্টি হয়ে ঝরবো।

ছবি
আমি কাঁদতে জানিনা তাই চোখের জল মুছতে হয় না,  আমি হাঁসতে জানিনা তাই তোমায় নিয়ে হয়নি উড়া।  আমি তোমার মত করে পারিনি হারিয়ে যেতে, আমি পারিনি তোমায় নিয়ে হারিয়ে যেতে,  তাই এখনও তোমায় নিয়ে স্বপ্ন দেখি।  আমি সুখ কি তা বুঝি না, তাই সুখে থাকা হলো না।  আমি কষ্টকে সুখ ভেবে করি সুখের অভিনয়,  তবুও আমি সুখী, খুব কষ্টে আছি ভেবোনা।  পারবোনা আমি আকাশ ছুঁতে, পারবো না আমি তোমায় নিয়ে উড়তে।  আমি তোমার আকাশে হাজার তাঁরা হয়ে জ্বলবো,  আমি তোমার বাগানে শতফুল হয়ে ফুটবো,  আমি তোমার মনেতে বৃষ্টি হয়ে ঝরবো।

তোমার জানালায়।

ছবি
তোমার জানালায় দখিনা হাওয়ায় এখনও কি দোলা দিয়ে যায়, এ কোন মায়ায় আমি দেখি তোমায়, তোমার এলো চুলে মন হারিয়ে যায়, তুমি কোথায়, তুমি কোথায়,  আমি আজও থাকি দাঁড়িয়ে তোমার জানালায়,  তুমি কোথায়, তুমি কোথায়, কোন নতুন ঠিকানায়, আমি এখনও ঐ জানালায়, মন হারিয়ে যায়, উদাসী হাওয়ায়, মন হারিয়ে যায় তোমার অপেক্ষায়।

তুমি নেই তাই।

ছবি
কেন আজ বারে বার মনে হয়, তুমি নাই, তুমি নাই, তুমি নাই, তুমিহীনা এই আমি, একাকী নিরবে স্মৃতিগুলো কেঁদে যায়।  তুমি কোন কারণে, তুমি কোন সাগরে, তুমি কোন সাগরের জলে ডুব দিলে,  আমি খুজিনি তোমায়, আমি খুজিনি তোমায়, ঐ সাগরের জলে।  তুমি কোন আকাশে, তুমি কোন আকাশে মেঘেদের মাঝে হারালে ঐ নীলিমায়, আমি খুজিনি তোমায়, ঐ দূর নীলিমায়।  তুমি ছিলে কল্পনাতে, তুমি ছিলে ভাবনার আকাশে, তুমি ছিলে মন সাগরের অশ্রু জলে মিশে,  তবে কোন কারণে হারালে, কোন সুখের মিলন মেলায়।  তুমি কোন বেদনায় দিয়েছ বিদায়, তুমি কোন বিরহে ভেঙ্গেছো হৃদয়,  সবই যে অকারণ ছিল মনে হয়।

অন্তিম কাল।

ছবি
যেতে নাহি মন চায় তবু চলে যেতে হয়, তবু কেন বাধি এ ঘর কিসের আশায়। যাব বলে এসেছি সাথে কি নিয়েছি ভাই, পাপ পূর্ণের হিসাব কালে পূর্ণের ভাগ বেশি হওয়া চাই। পিছনে ফিরে তাকিয়ে দেখি নেওয়ার মতো কিছুই নাই, স্মৃতিগুলো হাতড়ে দেখি এই শেষ বেলায়, কি ভুল আমি করেছি আর যে সময় নাই, এখন কি উপায়। উপায় তো একটাই, আর কোনো ভুল নয়, এখনই শুধরে নেবার শেষ সময়। কিন্তু সেই সময় আমাকে দেওয়া হবে কিনা তা আমার জানা নাই।

পার করো আমারে।

ছবি
একুল ওকুল দুকুল গেল, আমার একুল ওকুল দুকুল গেল, পাবো কি তোমার দেখা আমি। সেদিন পুলসিরাতের পাড়ে বসে, কান্দে আমার দয়ার নবী,  সেদিন পার হয়ে যায় কত জনে, আমার লাগি কোনজন কান্দেরে। আমি হারাইলাম সবি, আমি হারাইলাম সবই, মিছে এই দুনিয়ার লাগি। পাপের মাঝে ডুবে আছি, তোমার দয়ারও ভিখারি, না পাইলে তোমারে আমি, তুমি হইবা কারে। যারে যা আছে তার তাই সম্ভব, আমার কিছুই নাই। আমি হারাইলাম সবই, আমি হারাইলাম সবই, মিছে এই দুনিয়ার লাগি। একুল ওকুল দুকুল গেল, আমার একুল ওকুল দুকুল গেল, পাবো কি তোমারে আমি।

অগ্নিদগ্ধ মন।

ছবি
জীবন খাতায় লাল নীল পাতায় হিসেব মিলাতে কোথাও একটু গড়মিল ছিল মনে হয়, মনের অজান্তে কখন যে আমি সন্ন্যাসী হয়েছি, বুঝতে পারিনি বোধহয়। কে যেন আমায় ডাকে, আয় ফিরে আয়, আমার আর ফেরা হয় নাই, অগ্নিদগ্ধ মন আমার হারাতে চাই চিরসবুজে অজানায়, আমি খুঁজে বেড়াই বেলা অবেলায় তিনি কোথায়। দুপুর গড়িয়ে যখন সন্ধ্যা হয় মনে জাগে অনেক ভয়,এ আমি  এলাম কোথায়। চারিদিকে এত সবুজের মেলায়, আমার লাল নীল রংগুলি কিছুতেই যেন মিশতে পারে নাই, ক্ষত বিক্ষত মন নিয়ে আমি ফিরে আসি কোন এক নির্জন কোঠায়, আমার ক্লান্ত শরীর হারিয়ে যায় গভীর নিদ্রায়, পোড়া মন জেগে থাকে কোন সুখের আশায়।

উনুন জ্বালবার কেউ নেই।

ছবি
আমার ভাঙ্গা বাড়ির উনুন জ্বালবে কে, কেউ কথা রাখেনি, নাকি আমি কোন দিন কাউকে বুঝতে পারিনি।  আমার ভাঙ্গা বাড়ির উনুন জ্বালবে কে, শূন্য ঘর আমার করে হাহাকার। আমার প্রাণের বুলবুল, একদিন শূন্যতা অনুভব করবে তাঁর মায়ের আঁচল, সে দিন কে মুছে দেবে তাঁর অশ্রুজল। একথা ভেবে, আমার চোখের কোনে ক্ষণে ক্ষণে জমে যায় কিছু কিছ জল। আব্বু বলে ডাকে যখন, জুড়ায় আমার প্রাণ তখন, তাঁরো কি মা বলে ডাকতে ইচ্ছে করবে না তখন। কিছু শূন্যতা পূরণ হয় না, কোন কিছুর বিনিময়ে, তেমনি ভাবে এ শূন্যতা থেকে যাবে আমার বুলবুলের প্রাণে।

অন্তর দাহ।

ছবি
শুনেছি নারী নির্যাতিত হয়, দেখিনি কোনদিন। পুরুষ আজ বাক রুদ্ধ, কোন কাগজে ছাপতে দেখিনি কোনদিন। কিছু বলতে চাও? জানি তোমাদের আজ বাকরুদ্ধ। তোমারি ঘরে তুমি আজ বাকরুদ্ধ। কিছু বলতে চাও? কথা বলার একটা জায়গা চাও? দেওয়া হবে সেই অধিকার। কিন্তু একটু ভেবে নিও। কারণ সকলেই যেখানে নির্বিকার।

অদেখা ভুবন।

ছবি
মানুষের জন্ম আছে মৃত্যু নাই, তবুও তাকে একদিন মৃত্যুর স্বাদ নিতেই হয়, আমাকেও একদিন মৃত্যুর স্বাদ নিতে হবে, আমি কোন সাধু নই যে, আমাকে জবাব দিহিতার সম্মুখীন হতে হবে না, এটা ভাবার কোন সুযোগ নেই। অশান্ত হৃদয় আমার কবে হবে শান্ত, আমার জানা নাই, এই পৃথিবীর কোন বস্তুই আমাকে শান্তি দিতে পারেনি, আর কখনও পারবেও না কোনোদিন। কোনো সুদর্শনা নারী কিম্বা স্বাচ্ছন্দের জীবন, আমাকে আটকে রাখতে পারেনি কোনদিন। কোনো এক অদেখা ভুবনের অপেক্ষার অবসান হবে একদিন, সেদিন আমি বড় অসহায়, জানিনা যন্ত্রণার কূপে জ্বলতে হবে কিনা চিরদিন। এই ভয় আমাকে তাড়া করে বেড়ায় সব সময়, ইচ্ছায় অনিচ্ছায় করেছি কত অন্যায়, এজন্য কি স্রষ্টার কাছে ক্ষমা চাইলেই কি সবকিছুর সমাধান হয়ে যায়। মানুষের প্রাপ্য মানুষকে বুঝিয়ে না দিয়ে ছুটি কাটাতে চায় এমন মানুষের অভাব নাই, এরা কি ভেবেছে খুব সহজেই সবকিছু সমাধান হয়ে যায়।